MINHAJ UL QURAN YOUTH LEAGUE - BANGLADESH

মিনহাজ উল কুরআন ইয়ুথ লীগ - বাংলাদেশ

“মিনহাজ ইয়ুথ লীগ – বাংলাদেশ (এম.ওয়াই.এল) এর প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দীদ শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরী”

মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল (MQI) এর প্রতিষ্ঠাটা শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরী অনুপম পান্ডিত্তের অধিকারী একজন কালোত্তীর্ণ আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দীদ এবং ইসলামী শাস্ত্রীয় জ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা, প্রজ্ঞা, ইখলাস, ভালোবাসা, ঐক্য, শান্তি ও মানবতাবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সহিষ্ণুতা, সংহতি, ও অকাট্য যুক্তির দ্বারা অভিন্ন মতামত সৃষ্টি করে পারস্পারিক হৃদ্যতা সুদৃঢ়করণ প্রয়াসের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। সুতীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সফলভাবে ভবিষ্যতের সাথে বর্তমানের মিলন ঘটানোয় তিনি অত্যাধিক পারঙ্গম এবং বর্তমান বিশ্ব চলমান ঘটনা প্রবাহে এভাবে দিয়ে যাচ্ছেন প্রচলিত সমস্যার সমাধান। প্রাচ্য ও প্রাতিচ্যের হাজার হাজার ওলামায়ে কেরাম, পণ্ডিত, মাশায়েখ, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষাবিদ তাঁর কাছ থেকে হাদীস, তাফসীর, ফিকহ, ধর্মতত্ত্ব, সুফিবাদ, ইতিহাস ও বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত ও প্রাচীন শাস্ত্রীয় জ্ঞান আহরণ করে আসছেন।

মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ (MQI-Bangladesh) সংগঠনটি মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্যের একটি শাখা। মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল একটি সার্বজনীন অ-রাজনৈতিক, অ-সাম্প্রদায়িক আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা। বিশ্বব্যাপী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় শান্তিময় ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শসমূহের প্রচার, আন্তঃধর্মীয় সংহতি ও সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও আধুনিক শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, এবং আর্থ- সামাজিক কল্যাণের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা ও দর্শনের প্রচার, এবং মুসলিম উম্মাহর নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে সৃষ্টিকুল শিরোমণি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব নুরে মুজাস্‌সাম মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা(সঃ) এর আদর্শগত শান্তিময় দীন ইসলামের প্রচার, এবং বিশ্বব্যাপী সংকীর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ বিবাদমান ধর্মীয় অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল সুশৃঙ্খল জ্ঞান নির্ভর প্রচারণার কারণে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব শান্তির দূত হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ (Reviver of the current Century) শায়খুল ইসলাম ডঃ মুহাম্মাদ তাহির-উল-কাদরি ১৯৮০ সালের ১৭ ই অক্টোবর মিনহাজ-উল-কুরআন নামের রূহানী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি এত দ্রুত প্রচার ও প্রসার পেয়েছে যে মাত্র ৩০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এর সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশে প্রসারিত হয়েছে।

মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনালের প্রাথমিক উদ্দেশ্য দীন ইসলামের আলোকে সমাজে একটি ব্যাপক ও বহুমাত্রিক শান্তিময় পরিবর্তন আনয়ন করা, ইসলামের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা এবং মুসলিম উম্মাহকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্র নবী (আঃ)এর শেখানো আল কুরআনউল কারিমের ও তাজদারে কায়েনাত আকা এ দুজাহান আহমাদে মুজতবা (সঃ), মুহাম্মাদে মুস্তফা (সঃ) এর নুরময় সুন্নাহ এর আলোকে শান্তিপূর্ণ সমাজে জীবন যাপন করা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। মিনহাজ-উল-কুরআন মুসলিম উম্মাহর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, মতাদর্শিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিশেষ করে ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ ও নীতিমালা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রেম, শান্তি, সাম্য, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার, এবং সমৃদ্ধি এই মূল্যবোধগুলির পুনরুজ্জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে মিনহাজ-উল-কুরআন বিশ্বব্যাপী এর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দীদ শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ব্যক্তিত্ব, পুনরুজ্জীবনবাদী প্রচেষ্টা, মতাদর্শ এবং বিশ্বের ৯০ টিরও বেশি দেশে সম্প্রসারিত মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল (এমকিউআই)এর উপর বিশ্বব্যাপী গবেষকরা এমফিল ও পিএইচডি করেছেন। ।শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরি ও মিনহাজ-উল-কুরআন ইন্টারন্যাশনাল (এমকিউআই) উপর বিশ্বব্যাপী সম্পন্ন করা এবং চলমান এমফিল ও পিএইচডি গবেষণা কর্মের একটি সারসংক্ষেপ নিম্নে দেওয়া হলঃ

★ যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহাম্মদ রফিক হাবিব আল আজহারীর পিএইচডি থিসিসঃ “ইসলামী পুনরুজ্জীবনে শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর আদর্শিকতার একটি শাস্ত্রীয় বিশ্লেষণ”

★ প্যারিসে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সভ্যতার ইসলামী স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ফ্রান্সিসকো চিওবোতি ৭৫০ পৃষ্ঠার পিএইচডি থিসিস লিখেছেন “রাসূলের(সঃ)ওফাতের পরে রিসালাতে হাদিসের ভাগ্যের উপর কূশায়ীর কর্তৃক প্রতিবেদন” যার মধ্যে তিনি ব্যাপকভাবে ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর উদ্ধৃতি করেছেন।

★ ডঃ নাঈম আনোয়ার নূমানী করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিস বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর অবদানের উপর পিএইচডি থিসিস লিখেছেন।

★ মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অস্ট্রেলিয়ান গবেষক ছাত্র মুসলমানদের মধ্যে চরমপন্থার বিস্তার নিয়ে পিএইচডি থিসিস লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার বিপরীত। তার কাজ শেষ করার সময় “সন্ত্রাসবাদ ও আত্মঘাতী বোমা হামলার উপর ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর FATWA” বইটি বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয়। এটি পড়ার পরে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেন যে তিনি থিসিসে যা লিখেছেন তা বাস্তবতা প্রকাশ করেনি এবং তিনি ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ফাতওয়া’র আলোকে তার থিসিসের তত্ত্বটি পুনরায় যাচাই ও সংশোধন করতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও ২ বছর সময়ের জন্যে আবেদন করেন।

★ ডঃ ফীদা হোসেন আবেদি ইরানের আল-মুস্তাফা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কোম) পিএইচডি থিসিসের বিষয়ঃ “কুরআন ও সুন্নাহর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের আলোকে আহল আল-বাইতের মর্যাদা ও কর্তৃত্ব”। তিনি শিয়া ও আহল আল-সুন্নার দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ করে শায়খ-উল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তরাধিকারী তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়েছেঃ রাজনৈতিক পরিচারক, ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক তত্ত্বাবধান, এবং আধ্যাত্মিক অভিভাবকত্ব।

★ ইরানের ইউনুস হায়দারি এমফিল থিসিস শায়খ-উল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রচেষ্টার উপর সম্পন্ন করেছেন।

★ বিশ্ব বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ১১ খণ্ডের প্রখ্যাত বই ‘সিরাত-আল রাসুল (সাঃ)’ উপর পিএইচডি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রথম পি,এইচডি গবেষণা ভলিউম ৯-এ আলোচনা করা ‘অলৌকিকতা’ বিষয়ক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত, দ্বিতীয় পিএইচডি থিসিস দুই খণ্ডে প্রকাশিত সিরাত আল-রাসুল (সাঃ) বইয়ের ভুমিকার উপর।

★ জাকা উল্লাহ আব্বাসী নর্দান ইউনিভার্সিটিতে শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরী রচিত সিরাত আল-রাসুল (সাঃ) বইয়ের প্রথম দুটি ভলিউমের ভাষাগত বিশ্লেষণের বিষয়ে তাঁর এমফিল থিসিস লিখেছেন।

★ মুহম্মদ হোসেন আজাদ লাহোরের মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এমফিল থিসিস শাইখ-উল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তহির-উল-কাদরীর গভীর অর্থগত ব্যাখ্যার স্বাতন্ত্র্য বিশ্লেষণ করেছেন।

★ মুলতানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষক ডঃ তাহির-উল-কাদরীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নারীর ভূমিকার উপর এমফিল থিসিস লিখেছেন।

★ বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষক বিশ্ব স্তরে শান্তি প্রচারে ডঃ তাহির-উল-কাদরীর অবদানের উপর এমফিল থিসিস সম্পন্ন করেছেন।

★ বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহির-উল-কাদরী ও জাভেদ আহমদ গম্ডির অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনার তুলনামূলক বিশ্লেষণের উপর এমফিল থিসিস সমাপ্ত হয়েছে।

★ পৃথিবীর বিপ্লবে ডঃ তাহির-উল-কাদরী এবং ইমাম আহমদ রেজার চিন্তাধারার তুলনামূলক বিশ্লেষণের বিষয়ে একটি এমফিল থিসিস সমাপ্ত হয়েছে।

★ লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন ছাত্র/ছাত্রী ডঃ তাহির-উল-কাদরী লিখিত সিরাত আল-রাসুল (সঃ) বইয়ের সাথে একই বিষয়ে লিখিত অন্যান্য বইয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বিএসসি অনার্সের থিসিস লিখেছেন।

★ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মিনহাজ-উল-কুরআন (এমকিউআই) এর ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি উপর পিএইচডি করা হচ্ছে।

★ যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিতে আল্লামা মুহাম্মদ রমজান ডঃ তাহির-উল-কাদরীর ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাভাবনা নিয়ে পিএইচডি থিসিস কাজ করছেন।

★ মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয় লাহোরে জিহাদ এর উপর বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দীদ শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরী ও তুরস্কের বিখ্যাত বিপ্লবী ব্যক্তিত্ব সৈয়দ বদিউজ্জামান নুসরির তুলনামুলক চিন্তাধারায় পিএইচডি থিসিস কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

★ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাধারার উপর এবং শিক্ষা বিস্তারে ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল-কাদরির অবদানের উপরও এমফিল থিসিস কার্যক্রম চলমান আছে।

বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শাইখুল-ইসলাম ডঃ মুহাম্মদ তাহির-উল কাদরীর ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। তিনি বর্তমান বিশ্বের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। সমসাময়িক কালে পৃথিবীর আর কোন ব্যাক্তির উপর জীবিতকালে এত বেশী গবেষণা হয়নি।